আধুনিক রসায়নের জনক এন্থনী ল্যাভয়সিয়কে ৮ মে, ১৭৯৪ সালে গিলোটিনে হত্যা করার পরে বিখ্যাত গণিতবিদ জোসেফ লগোন বলেছিলেন "ল্যাভয়সিয়ের মাথা কাটতে সামন্য সময় লাগলেও হাজার বছরেও এইরকম আর একটি মাথা ফ্রান্সে আসবে না"।

ল্যাভয়সিয়কে বলা হয় আধুনিক রসায়নের জনক।
পদার্থ বিজ্ঞানের বিখ্যাত সূত্র " Conservation of mass ও এই বিজ্ঞানীর অবদান"
তিনিই প্রথম হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের নামকরণ করেন। সূচনা করেন পিরয়ডিক টেবিলেরও। অধুনিক মেট্রিকসেও তাঁর অসামন্য অবদান রয়েছে।
বিজ্ঞানে এতসব অবদান থাকলেও তিনি ছিলেন মূলত ট্যাক্স কর্মকর্তা। আর তাঁর মূল পড়ালেখা ছিল আইনবিদ্যায়। বিজ্ঞানের পিছনে দেওয়া সময়টুকু ছিল তার অবসরের সময়।

বাল্যকালঃ
২৬ অগাষ্ট ১৭৪৩ সালে জন্মগ্রহনের পরে ১৭৫৪ থেকে ১৭৬১ সাল পর্যন্ত College Mazarin এ রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত বিষয়ে লেখাপড়া করেন। ১৯৬৭ সালে ল্যাভয়সিয়ে জিওলোজিক্যাল সার্ভেড় উপরেও গবেষনা করেন। তাঁর প্রথম কেমিকেল রিসার্স পাবলিকেশস প্রকাশিত হবার পরেই ফ্রান্সের সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ French Academy of Sciences এর সদস্য পদ লাভ করেন।

সংক্ষেপে বিজ্ঞানে তাঁর অবদানঃ
ল্যাবয়সিয়েকে বলা হয় Pioneer of stoichiometry। stoichiometry সম্পর্কে যারা জানেন না তাদের জন্য একটু সহজ করে দেই। রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় রিয়াকট্যান্টগুলোর আনুপাতই হল stoichiometry । আরও একটু সহজ করে বলতে গেলে বলতে হয় কোন কেমিকেলের সাথে সাথে কোন কেমিকেল কতটুকু মিশাতে হবে কোন নির্দিষ্ট রসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য তার আনুপাতিক হিসেব।
এছাড়াও তিনি কেমিকেল ব্যালেন্স, এনালাইটিক্যাল কেমিষ্ট্রি, ক্যালরিমিটারের ব্যবহারের প্রচলন করেন। গিনিপিগের রেচনতন্ত্রের বিচার বিশ্লেষনেও তাঁর বিশেষ ভূমিকা আছে।

১৭৯৪ সালের ৮ মে তাঁকে গিলোটিনে মৃত্যদন্ড দেওয়া হয় ট্যাকক্স কর্মকর্তা হিসাবে ফ্রান্সের জনগণকে হয়রানি করার অভিযোগে। যদিও পরে তখনকার সরকার তাদের সিদ্ধান্ত ভুল বলে স্বীকার করে। তাঁকে হত্যা করার দেড় বছর পরে যখন তাঁর বিধবা স্ত্রীকে তাঁর সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল তখন তৎকালীন সরকার একটা নোট লিখে ""To the widow of Lavoisier, who was falsely convicted."

ল্যাভয়সিয়ের হাতে লেখা তার ল্যাব বুক:




0 মন্তব্য: