আমার ডিপার্টেমেন্টে আমি যতজন বুদ্ধিমান ছাত্রকে দেখেছি তার মধ্যে জসিম অন্যতম। জসিম তার পিএইচডি কম্প্রিহেনসিভ পরীক্ষা শেষ করেছে মাত্র ৫০ মিনিটে। আনাঅফিসিয়ালী এইটা আমাদের ডিপার্টমেন্টে রেকর্ড। বেশ কতোকগুলো পাবলিকেশনস ও আছে নামদামি জার্নালে। তারপরেই ডিপার্টমেন্ট নানান ধরনের সুযোগ খুঁজছে জসিমকে বহিঃষ্কার করার জন্য।

জসিমঃ
২০০৫ সালে জার্দান থেকে ইউনিভারসিটি অব ওয়াটারলুতে আসে পিএইচডি করার জন্য। এক বছর ও কয়েক মাস পরে সে ওয়াটারলু থেকে আমাদের ইউনিতে আসে। কারন হিসাবে জানা যায় তার বসের সাথে বনিবনা না হওয়া। ওয়াটারলু আর আমার ইউনিভারসিটি একই সাথে অনেকগুলো প্রোগাম চালায় বিধায় তাকে আমাদের ইউনিতে আসতে খুব কষ্ট পেতে হয়নি। নতুন বস গ্যাব্রিলিয়েসকির সাথেও একবছর পরে বনিবনা শেষ হয়ে যায়। কারন পেপারসের ফার্স্ট অথর। প্রফেসর গ্যাব্রিলিয়েসকি জসিমকে সুপারভাইজ করতে অপারগতা জানানোর ফলে নতুন সুপারভাইজার হিসাবে পায় রিচার্সকে। ডিপার্টমেন্টের অন্যতম ভদ্র প্রফেসর হিসাবে পরিচিত এই রিচার্ড। মাত্র কয়েকদিন আগে রিচার্ডকে জসিম ছুরি নিয়ে মারতে গিয়েছিল। আর সেখানেই সব গোল শুরু হয়েছে। এখন রিচার্ড কাজ করার জন্য সময় বরাদ্দ করে দিয়েছে। সময়টা হল অন্য যে কেউ ল্যাবে কাজ করলে জসিম কাজ করতে পারবে না। আমার সাথে যতবারই জসিমের কথা হয় কখনও মনে হয় না এই জসিম আর অন্যদের কাছে জানা জসিম এক। আমার বস ডিপারটেমেন্টের চেয়ার হওয়ায় সে অনেক কিছুই জানে। তার থেকে যতটকু জানি তা হল, জসিমকে বহিঃস্কারের বিভিন্ন রকম ছুঁতো খুঁজে বেড়াচ্ছে। এই সুযোগ পেলেই তার সৎ ব্যবহার করতে কেউ একটুও ভাববে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। এমনকি অন্য সব ছাত্রদের বলে দিয়েছে জসিমকে এড়িয়ে চলার জন্য।

আলী রেজাঃ

ইরান থেকে প্রথমে আসে আমেরিকার প্রিন্সটনে। তারপরে আমাদের ডিপার্টমেন্টে পিএইচডি করার জন্য। এখানেও প্রফেসর রিচার্ড। আলী রেজার ব্যবহার অনেকটা এক বাপের একপুতের মত। সবকিছুই তার। একল্যাবে ৮/১০ জন কাজ করলে সে কমন জিনিষপত্রও অন্যদের সাথে শেয়ার করে না। কোন কোন সময় সে পুরা ইনুষ্ট্রুমেন্ট খুলে ব্যাগে ভরে বাড়ি নিয়ে যায়। এইরকম ঘটনা আমার জীবনে আর কখনও দেখি নাই। অন্য কো-ওয়ারকারের ৩/৪ মাসের কাজে রেজাল্ট নষ্ট করারও অভিযোগ রয়েছে আলী রেজার বিরুদ্ধে।
পারলে সবাই আলী রেজাকে এড়িয়ে চলে।

0 মন্তব্য: