কোন সালের কথা ঠিক মনে নেই, তবে ধারনা করছি ৯৫-৯৬ সালের। কারন ঘটনাটা আমার কলেজে ১ম বর্ষে পড়ার সময়ে। আমরা কয়েক বন্ধু মিলে কোন এক বড় ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছি। বাসা থেকে গাবতলীতে গিয়ে নামতেই দালালরা ট্যানা হেচড়া শুরু করল।



বড় ভাইয়ের বুদ্ধি অনুযায়ী কইলাম- ভাই টিকিট করা আছে।
এক দালাল জিজ্ঞাসা করল কোন গাড়ির?
– কইলাম সোহাগ পরিবহন।
সোহাগের দালালরা ব্যাগগুলো নিয়ে কাউন্টারে হাজির হইল।
এইবার কয় কয়টার গাড়ি? কোথাকার গাড়ি?
তখন কইলাম আসল কথা। কইলাম টিকিট করা নাই তবে সোহাগেই যাব।
টিকিট কাটার কিছু সময় পরে সিটে বসে অপেক্ষা করছিলাম গাড়ি ছাড়ার জন্য। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী গাড়িতে আমাদের মতই অপেক্ষা করছে।
এরই মধ্যে কিছু হকার গাড়িতে উঠে তাদের মাল-সামানা বিক্রি করতে শুরু করল। এদের মধ্যে একজন হকার বিক্রি করছে পারফিউম।
আমার পাশের এক লোক সেই হকারের কাছ থেকে নানা ধরনের পারফিউম দেখছে। কাছে থেকে যা দেখতে পাচ্ছিলাম- তার মধ্যে পয়জন, সিকে, হোগো, ডিওর, টমি হিলফিগারসহ আরও অনেক ব্র্যান্ডের পারফিউম। দেখে বেশীরভাগ কৌটাগুলোই বেশ দামি মনে হয়েছিল।
আমার পাশের সিটে বসা লোকটা আর সম্ভবত তার বউ মিলে অনেকক্ষন ধরে কিছু পারফিউম দেখে একটা পারফিউম পছন্দ করল।
লোকটা হকারকে জিজ্ঞাসা করল - এইটার দাম কত?
- ২৫০ টাকা, হকার উততর দিল।
লোকটা বলল - যা নিয়ে যা, আমি এত দাম দিয়ে কেনব না।
হকার - কত হইলে কিনবেন?
লোকটা কয় - আমি কিনব না।
হকার - কিনবেন না তো দেখলেন ক্যান?
লোকটা কয় - তুই তো আমার হাতে ধরাই দিলি।
হকার - আমি আপনার হাতে একটা দিছি, আপনি সবই প্রায় দেখলেন।
লোকটা একটু ইতস্তত করে বলে কয় - বিশ টাকায় দিবি?
হকার - কত বিশ? একশ বিশ না দুইশ বিশ?
লোকটা কয় - খালি বিশ।
হকার -তাইলে আর আপনার সেন্ট মাখান লাগবো না, প্যান্ট খুলে পাছায় গাড়র পুরা মবিল লাগান , এই বলে লোকটার হাত থেকে পারফিউমের কৌটা কেড়ে নিয়ে চলে গেল।

1 মন্তব্য:

Arif Rahman Blog said...

খিক! খিক! খিক!