২০০৪ সালে তৎকালীন প্রেমিকার (বর্তমানে বউ) অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার জন্য জীবনে একবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। সেই বিসিএস ছিল ২৪ তম। সবে মাষ্টার্স পরীক্ষা শেষ করেছি। থিসিস জমা দেওয়া হয়নি। তাই সারাদিন হলে বইসা গ্যাজাইতাম আর টিভিরুমে বইস্যা থাকতাম। অন্য ব্লগারের মত কইলে কইতে হয় “হেন কুনো টিভি প্রোগ্রাম নাই যে আমি দেখি নাই সেইসময়”[রেফারেন্স হাসিব ভাই]।
হলের দুইজন বড় ভাই ছিল নাম- বাবু/সুমন। চারতলার বাসিন্দা ছিল উনারা- কামালউদ্দিন হলের। মাঝে মাঝে এই দুই বড়ভাই মেজাজটা দিত বিগড়ায়ে। এইচবিওতে ঘন্টা ধইরা সিনেমা দেখার পরে ইটিভির রাত ১১টার খবর দেখার জন্য আইসাই ক্যাঁ ক্যাঁ শুরু কইরা দিত। খবরের চ্যানেলে না দিলে, সামনে বিসিএস বইলা ভয় দেখাইত।
পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যায় খবর পাই পরীক্ষার প্রশ্ন আউট। সো, প্রশ্ন খুঁজতে খুঁজতে রাত ১১ টা বাইজা গেল। প্রশ্ন আর পাইলাম না। কিছুক্ষন পরে প্রেমিকা ফোন কইরা জানান দিল, গ্রামীনে কুনো প্রবলেমের কারনে ০১৭২ সিরিজের নাম্বার থেকে ফোন করলেও টাকা কাটছে না।
কাজেই ৭ টাকা মিনিটের দিনকালে সারারাত কাটল ফোনে। সকালে চোখ মুছতে মুছতে গেলাম পরীক্ষা। ভাগ্যক্রমে সেই সুমন/বাবু ভাইয়েরও সিট পরেছিল আমার সাথে আইডিয়াল কলেজে।
পরীক্ষা শেষের পরেই ” তাদের জিজ্ঞাসা ” ভাংনুসিংহ কার ছদ্দনাম?
আমি কইলাম, সুমন ভাই, ইটিভির রাত ১১ টার খবর থেকে কমন পরে নাই প্রশ্ন?
সন্ধ্যার পরে সারা হলের ছেলেরা জানতে পারল সুমন/বাবু ভাইয়ের প্রশ্ন ইটিভির খবর থেকে কমন পরে নাই।
(নোটঃ ২৪ তম বিসিএসে স্মরণকালের সর্বনিম্ম নম্বরের ভিত্তিতে লিখিত পরীক্ষার জন্য সবাই ঢাকা হলেও সুমন/বাবু ভাই তাতে টিকে নাই।)
0 মন্তব্য:
Post a Comment