বর্তমানে লন্ডনে বসবাসকারী মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেনু কাদঁতে কাদঁতে বললেন এক বুড়িমার কথা। ভারতে সীমান্ত এলাকায় যখন তিনি ক্যাম্পে ক্যাম্পে শরনার্থী আর মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ধরে রাখতে ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের গান করতেন তখন সন্ধান পান এই বুড়িমার। ঐ ক্যাম্পের সবাই জানে বুড়িমা কখনও কারও সাথে কোন কথা বলে না। একদিন মাহমুদুর রহমান গান করে ফিরে আসার সময় বুড়িমা তাকে হাত ধরে বলল বাবা তুই আমার গলাটা টিপে দিয়ে যা। বুড়িমার সামনে পাক বাহিনী তার চার ছেলে, ছেলের বউ ও তাদের ছেলে মেয়ে সবাইকে হত্যা করার পরে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েন এই বুড়িমা।
এ কথাগুলৈ বলছিলেন আর আঝরে কাঁদছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেনু। তিনিও আরও জানালেন সকাল ৬টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত কিভাবে একটা মিনিবাসে করে ঘুরে ঘুরে সারাক্ষন গান করতেন। এতো গেল শুধু মাহমুদুর রহমানের কথা।
এর আগে ফাহমিদা খাতুন বললেন কিভাবে পাক আর্মির সামনে পাকিস্থানের স্বাধীনতা দিবসে তাদের পতাকা না উড়িয়ে আর জাতীয় সংগীত না বাজিয়ে "আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে....." গানটি বার বার প্রচার করা হচ্ছিল।
সালেহ আহমেদ জানালেন
কিভাবে খালি গায়ে একটা বন্ধ একটা ঘরে
মুক্তিযুদ্ধের গান রেকর্ড করতেন আর চট্টগ্রাম খালুরঘাট থেকে রেডিওর ট্রান্সমিটার চুরি করে নিয়ে গেলেন।

কিভাবে ও কি পটভূমিতে তৈরি হল রণাঙ্গনের সেইসব রক্ত গরম করা গান। যেমন:-
"পাকপশুদের মারতে হবে চলরে নাও বাইয়া
নৌকা মোদের চলে এবার যুদ্ধের সামান লইয়া"
কিভাবে পশ্চিম বাংলার সুরকারও গীতিকারেরা যুক্ত হলেন এই মুক্তিযুদ্ধের গানে।

এইসবই হয়ছে বিবিসি বাংলা বিভাগের আয়োজনে। চমৎকার একটা অনুষ্ঠান, সংগ্রহে রাখার মত কিছু জানা-অজানা কথা।
এরকম আরও একটা অনুষ্ঠান করছিল বিবিসি বাংলা বিভাগ ১৯৯৬ সালে। অনেক খুঁজেও পেলাম না সেই অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তাই এবার নিজেই রেকর্ড করলাম আর আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।


কথা দিচ্ছি সময়ের অপচয় হবে না কারও।
এখনও পুরো অনুষ্ঠানই শুনতে পারবেন বিবিসি বাংলা বিভাগ থেকে সরাসরি।
আর পুরো অনুষ্ঠানটা ডাউনলোড করতে পারবেন এইখান থেকে মিডিয়া ফায়ারের লিংক।

0 মন্তব্য: