অভাব অনটনের সংসারে রেনু (ডিভোর্সী; কেন ও কিভাবে এইকথা জানা যায় না সিনেমা দেখে) একমাত্র উপার্জনকারী। মায়ের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন মধ্যবয়স্কার মতই। রেনুর বড় ভাই অন্ধ, ছোট ভাই ঢাবির ছাত্র ও নেশাখোর। রেনু কাজ করে একটা এনজিওতে। তার কাজ মাদকসেবীদের সম্পর্কে তথ্য যোগাড় করে। এমনই এক মাদকসেবী ইমারনের সাথে সম্পর্ক হয়ে যায় রেনুর। এই সম্পর্কের কথা জেনে বিচলিত হয়ে পরে রেনুর মা, তার সংসারের ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এক পর্যায়ে প্রেগন্যান্ট হয়ে যায় রেনু। এরপরে পাবলিক পিটুনীতে মারা যায় ইমরান। কাহিনীতে আর তেমন কিছু বলার নাই।

এই সিনেমার কাহিনীকে আমার কাছে মনে হয়েছে খুবই দূর্বল। এনজিও কর্মীদের অফিসের অভিনয়ে দেখা গেছে ফারুকী টাইপের অভিনয়। বাহিরের সুটিংগুলোতে ক্যামেরাম্যানের দক্ষতার দূর্দশা যে কারই চোখে পরবে বিশেষ করে মাদকসেবীদের সাক্ষাতকার গ্রহনের জন্য চলাফেরার দৃশ্যগুলো। কখনও কখনও মনে হয়েছে ক্যামেরাম্যান হয়ত ঘুমেই পরেছিল। কয়েকটি জায়গায় তাই মনে হতে পারে-যেমন একটা ছেলেকে গণপিটুনীর সময়ে রেনুর অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরে ঐ ছেলেটির নিস্ফল হাহাকার। একেবারে যেনতেনভাবে ফ্লাশ ব্যাক, যেমন টেলিভিশন কিনে ফিরে আসা, রেনু অন্ধ ভাই রোকনকে নিয়ে রেললাইন ধরে হাঁটা, কল্পনায় নৌকা ও ট্রেনের দৃশ্যগুলো সবাইকেই বিরক্ত করবে নিশ্চিতভাবেই। পরিচালকই ভাল বলতে পারবেন এইসবের মর্মকথা।

আমাদের নিম্ন-মধ্যবৃত্তীয় জীবনের সচরাচর ঘটে চলা আখ্যানটাই হয়ত বলতে চেয়েছেন ছবির পলিচালক। রেনুর অনুভূতি ও তার পরিবার কেন্দ্রিক সংকট, পরিবারের টানাপোড়ন কিছুটা চিহ্নিত করতে পারলেও দৃশ্যায়নে পরিচালক শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে।

0 মন্তব্য: