গুপ্তধনের প্রতি মানুষের আকর্ষনের ইতিহাস বহু প্রাচীন। বহুকাল আগে থেকেই মানুষ স্বর্ণ তৈরির চেষ্টা করে আসছে। সেই স্বর্ণ তৈরির আশা থেকেই জার্মান বিজ্ঞানী ব্রান্ড নিজের মূত্র থেকে স্বর্ণ তৈরির চেষ্টা করেন ১৬৬৯ সালে। তাঁর ভবিষ্যত প্রজন্মকে স্বাবলম্বী করার প্রবল আশা থেকেই এই কাজের শুরু । তিনি লিটারের পর লিটার মূত্র নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে এমন এক পর্যায়ে যান যেখানে থেকে মাত্র ১৫ বালতি বেশি মূত্র পেলেই তার স্থির লক্ষ্যে পৌছেযাবেন বলে আশা করেন। তার এই কাজে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে আসছিল তাঁর ধনী স্ত্রী মারগারেট।
অবশেষে তিনি এমন এক সাদা পদার্থ মূত্র থেকে আলাদা করতে সক্ষম হন যা অন্ধকারে জ্বল জ্বল করে এবং তার নামই ফসফরাস। স্বর্ণ তৈরির আশাতে ব্রান্দ তাঁর সমস্ত ধন সম্পত্তি শেষ করে ফেলে এবং তার এই গোপন সূত্র অন্যত্র বিক্রি করে দেয়।
মোটামুটি চার ধরনের ফসফরাস পাওয়া যায়, শ্বেত, কালো, বেগুনী ও ডাই ফসফরাস।
ফসফরাস ডিএনএ, আরনএ, কোষ, ও সেল মেমব্রেনের অন্যতম কম্পোনেন্ট।

জার্মানির হামবার্গের বিজ্ঞানী ব্রান্ডের আবিষ্কৃত ফসফরাস নার্ভ এজেন্ট, ফ্রিকশন ম্যাচেস, আতশবাজি, টুথপেষ্ট ও ডিটারজেন্টে ব্যবহৃত হলেও ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাঁর নিজের শহর হামবার্গ সম্পুর্ণ রূপেই পুরে ছাই হয়েছিল এই ফসসরাস বোমায়।

বিবিসির তৈরি এই ভিডিওটি দেখলে আরও অনেক বেশি জানতে পারবেন।




সূত্র বিবিসি ও উইকিপিডিয়া

0 মন্তব্য: